Skip to main content

সার্ভার কি? সার্ভার কত প্রকার ও কি কি

প্রিয় পাঠক আপনার নিশ্চয়ই সার্ভার কি সম্পর্কে জানার জন্য আজকের পোস্টটিতে এসেছেন। তবে আপনারা সঠিক জায়গাতেই রয়েছেন। কারণ আজকের পোস্টটিতে আপনাদের জানার সুবিধার্থে সার্ভার কি ও সার্ভার কিভাবে কাজ করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। সার্ভার কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

 

আপনারা যদি সার্ভার কি, সার্ভার কিভাবে কাজ করে ও সার্ভার কত প্রকার এ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য জানতে চান তাহলে অবশ্যই পোস্টটি শুরু থেকে পড়া শুরু করুন। কারণ আর্টিকেলটিতে সার্ভার সম্পর্কিত বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হবে।

ভূমিকা

বর্তমানে কম বেশি সকলেই প্রায়ই মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। আর যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে তারা সকলেই সার্ভার শব্দটির সাথে পরিচিত। আপনার হয়তো ব্যাংকে বা অফিসে গিয়ে সার্ভার নামটি সবচেয়ে বেশি শুনেছেন। কারণ ব্যাংকে গেলে অনেক সময় স্টাফরা বলে থাকে বর্তমানে সার্ভার ডাউন আছে, আপনাদের কাজ পরে হবে। এ কথাটি প্রায় সকলেই শুনে থাকেন।

তাছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে প্রবেশ করা যায় না। এসব ওয়েবসাইটগুলোতে একসঙ্গে অনেকগুলো মানুষ ভিজিট করার কারণে ওয়েবসাইট অনেক সময় ডাউন থাকে। ওয়েবসাইট আর খুলে না। এ সময় অনেকে মনে করে সার্ভার ডাউন আছে। আজ আমরা আপনাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটিতে সার্ভার কি ও সার্ভার কিভাবে কাজ করে থাকে ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

সার্ভার কি (what is server)

সার্ভারকে বাংলা ভাষায় অর্থ হিসাবে পরিবেশক বলা হয়। মূলত যে সার্ভ করে তাকেই সার্ভার বলা হয়। কম্পিউটার সাইন্স এর ভাষায় সার্ভার মূলত একপ্রকার কম্পিউটার যেখানে প্রায় সকল ধরনের ইনফরমেশন ও তথ্য জমা থাকে। আরেক ভাষায় বলা যায়, সার্ভার মূলত একপ্রকার কম্পিউটার হার্ডওয়ার ও সফটওয়্যার যার সাহায্যে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে সার্ভিস দিয়ে থাকে।
আমরা যখন google এ কোন কিছু লিখে সার্চ করে থাকি তখন গুগল আমাদের নির্দিষ্ট ফলাফল দেখায়। এই ফলাফলটা মূলত সার্ভার আমাদেরকে দিয়ে থাকে। মূল কথা google বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সার্ভার থেকে তথ্যগুলো এনে আমাদের দেখিয়ে থাকে। এভাবে সাধারণত সার্ভার কাজ করে থাকে।
সার্ভারের মাধ্যমে আমরা অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার তথ্য পেয়ে থাকি। আমার যখন অনলাইনে কোন কিছু সার্চ করি তৎক্ষণাৎ সার্চের ফলাফল পেয়ে যাই, এটি সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র সার্ভারের কারণে।সার্ভারের সকল তথ্য জমা থাকে, আমরা যখন রিকোয়েস্ট পাঠাই তখন সার্ভার আমাদের তথ্যগুলো প্রদান করে থাকে।

সার্ভার কিভাবে কাজ করে

সাধারণত ওয়েব সার্ভারে সকল ডাটা গুলো জমা থাকে। আপনি যখন অনলাইনে google এ কোন কিছু জানার জন্য লিখবেন। তখন সার্ভার আপনাকে সেই সম্পর্কে সকল তথ্যগুলো প্রদান করবে। মূলত আপনি যখন কোন ব্রাউজারে কোন তথ্য সম্পর্কে জানতে চান সেই রিকোয়েস্টটি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সার্ভারে গিয়ে সার্ভার তৎক্ষণাৎ ব্যবহারকারী যেই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাই সেগুলো প্রদান করে থাকে।

সার্ভারের হার্ডওয়্যার গুলো কি কি

একটি সার্ভারের প্রধান হার্ডওয়্যার উপাদানসমূহ হলোঃ
  • প্রসেসর (CPU) – উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাল্টি-কোর প্রসেসর (Intel Xeon, AMD EPYC)
  • RAM (মেমোরি) – অধিক কার্যক্ষমতা ও দ্রুত ডাটা প্রসেসিংয়ের জন্য (32GB, 64GB, বা তার বেশি)
  • স্টোরেজ (HDD/SSD/NVMe) – উচ্চ গতির এবং বৃহৎ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন ড্রাইভ
  • নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার (NIC) – দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য সংযোগের জন্য
  • পাওয়ার সাপ্লাই ও কুলিং সিস্টেম – সার্ভারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে

সার্ভার কত প্রকার ও কি কি

সার্ভার বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। প্রতিটি সার্ভারের আলাদা আলাদা কাজ রয়েছে। এজন্য কাজ অনুযায়ী সার্ভার বিভিন্ন ক্যাটাগরি রয়েছে। নিম্নে সার্ভারের প্রকারভেদ তুলে ধরা হলোঃ

১. ওয়েব সার্ভার (Web Server)

  • সার্ভার কাজঃ ওয়েবসাইট হোস্ট করা এবং ব্রাউজার থেকে HTTP/HTTPS অনুরোধে সাড়া প্রদান করা এর কাজ।
  • উদাহরণঃ Apache, Nginx, Microsoft IIS

২. ডাটাবেস সার্ভার (Database Server)

  • সার্ভার কাজঃ ডাটাবেস পরিচালনা ও সংরক্ষণ করা এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর ডাটাবেজের সাথে সংযোগ স্থাপন ইত্যাদি এর কাজ।
  • উদাহরণঃ  MySQL, PostgreSQL, Oracle

৩. ফাইল সার্ভার (File Server)

  • কাজঃ ফাইল স্টোরেজ এবং শেয়ারিংয়ের সুবিধা দেয়।
  • উদাহরণঃ Samba, Windows File Server

৪. মেল সার্ভার (Mail Server)

  • কাজঃ ইমেইল প্রেরণ, গ্রহণ এবং সংরক্ষণ জনিত কাজ করে থাকে।
  • উদাহরণঃ Microsoft Exchange, Postfix, Gmail SMTP

৫. অ্যাপ্লিকেশন সার্ভার (Application Server)

  • কাজঃ বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ব্যাকএন্ড সার্ভিস প্রদান করে।
  • উদাহরণঃ Tomcat, WebLogic, JBoss

৬. DNS সার্ভার (DNS Server)

  • কাজঃ ডোমেইন নেমকে আইপি ঠিকানায় রূপান্তর করা এর কাজ।
  • উদাহরণঃ BIND, Google DNS

৭. প্রক্সি সার্ভার (Proxy Server)

  • কাজঃ ব্যবহারকারীর অনুরোধকে অন্য সার্ভারে পাঠায় এবং ক্যাশিং ও নিরাপত্তা প্রদান করে।
  • উদাহরণঃ Squid, HAProxy

৮. VPN সার্ভার (VPN Server)

  • কাজঃ নিরাপদ নেটওয়ার্ক সংযোগ তৈরি করতে সাহায্য করে।
  • উদাহরণঃ OpenVPN, Cisco AnyConnect

৯. ক্লাউড সার্ভার (Cloud Server)

  • কাজঃ ভার্চুয়ালাইজড পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করে।
  • উদাহরণঃ AWS EC2, Microsoft Azure, Google Cloud

১০. গেম সার্ভার (Game Server)

  • কাজঃ মাল্টিপ্লেয়ার গেমের জন্য রিয়েল-টাইম ডাটা এবং সংযোগ প্রদান করে।
  • উদাহরণঃ Minecraft, Counter-Strike Server

১১. নির্বাচন/লোড ব্যালেন্সার সার্ভার (Load Balancer Server)

  • কাজঃ ট্রাফিককে বিভিন্ন সার্ভারে ভাগ করে লোড ভারসাম্য বজায় রাখে।
  • উদাহরণঃ Nginx, F5 Load Balancer

সার্ভার হোস্টিং পদ্ধতি

সার্ভার পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ধরণের হোস্টিং ব্যবহার করা হয় যেমনঃ
  • শেয়ার্ড হোস্টিং (Shared Hosting) – একাধিক ওয়েবসাইট একই সার্ভার ব্যবহার করে
  • VPS (Virtual Private Server) – ভার্চুয়াল পার্টিশন করা ব্যক্তিগত সার্ভার
  • ডেডিকেটেড সার্ভার (Dedicated Server) – শুধুমাত্র একটি ব্যবহারকারীর জন্য
  • ক্লাউড সার্ভার (Cloud Server) – অনলাইন ভিত্তিক ভার্চুয়াল সার্ভার
  • কো-লোকেশন সার্ভার (Colocation Server) – ব্যবহারকারী নিজস্ব হার্ডওয়্যার সার্ভার ডাটা সেন্টারে রাখে।

শেষ কথা

আজকের আর্টিকেলে আমরা সার্ভার কি ও সার্ভার কত প্রকার কি কি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। যারা সার্ভার সম্পর্কে জানেন না তারা আর্টিকেলটি ভালো করে পড়ুন বিস্তারিত জেনে যাবেন। বিভিন্ন কাজ অনুযায়ী সার্ভার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সার্ভার কিভাবে কাজ করে তা জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন। আর অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে জানতে আমাদের সাইটে ভিজিট করতে পারেন।

The post সার্ভার কি? সার্ভার কত প্রকার ও কি কি appeared first on Trickbd.com.



source https://trickbd.com/web-development/3016977

Comments

Popular posts from this blog

আবারো ফেইসবুকে নিন আনলিমিটেড ফলোয়ার

আসসালামু আলাইকুম। সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। তো বন্ধুরা আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি এমন একটি এপ যার মাধ্যম আপনারা আপনার আইডিতে যত চান ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। তো শুরু করা যাক…. ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ তার ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা কম বেশি সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর সবাই চেষ্টা করি আমাদের ভার্চুয়াল লাইফটাকে সবার থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে। আর তার জন্য কতো কিছুই না করি! কিভাবে ফ্যান, ফলোয়ার বাড়ানো যায় কিংবা নিজের ফেসবুক প্রফাইলটাকেও চেষ্টা করি একটু ভিন্ন রূপে সাজাতে। আপনি অবশ্যই ফেসবুক অটো ফলোয়ারের কথা শুনেছেন! আর এই সামান্য কিছু ফেসবুক অটো লাইক, ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট, ফেসবুকে অটো কমেন্ট, ফেসবুক পেজে অটো লাইক কিংবা অটো ফলোয়ার নিতে অনেকেই আবার নিজের স্বাধের ফেসবুক আইডিটি তুলে দেয় থার্ড পার্টি কোনো ওয়েবসাইটের হাতে। তবে আজকে আমি আপনাদের কে শিখাবো কিভাবে আপনার ফেসবুকে প্রফাইলে আনলিমিটেড ফলোয়ার নিবেন। তবে এটা কোনো অনিরাপদ উপ...

Glutathione – গায়ের রঙ ফর্সা করতে কার্যকারিতা, ব্যবহার এবং সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে সবকিছু (Skin health)

আসসালামু আলাইকুম   আজকের আলোচনায় আমরা জানবো Glutathione  এর কার্যকারিতা, ব্যবহার, এবং সাইড ইফেক্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের জন্য এটি উপকারী হবে।  Glutathione এর কাজ কি? (benefits of glutathione) গ্লুটাথিওয়ন বর্তমান সময়ে, বহুল জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য। এছাড়াও গ্লুটাথিওয়ন (Glutathione) নেওয়ার পর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে যায়, লিভার ডিটক্স (পরিষ্কার হয়) এবং রক্তের বিভিন্ন দুষণ সমস্যা গুলোও ঠিক করে দেয়। দেখা গেছে যে, যাদের মুখের ত্বক, শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে, কম উজ্জল হয়ে থাকে তাও এক রকম করে দেয় গ্লুটাথিওয়ন। এক কথায় সারা শরীরের ত্বকের উপর কাজ করে। এছাড়াও আমাদের ত্বক বেশী রোদ্রে যাওয়ার ফলে কালচে (ট্যান) হয়ে যায়, এটাও দ্রুত হিল করে গ্লুটাথিওয়ন। এমনকি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত ও দ্রুত সারিয়ে তোলে গ্লুটাথিওয়ন এর পরিমান শরীরে বেশি থাকলে। তবে কসমেটিকস জগতে গ্লুটাথিওয়ন এর একটি ফলাফল হলো স্কিন উজ্জ্বল, ও ২/৩ সেড ফর্সা করা, যার কারনে এটি বহুল পরিচিত। এটি কি সবার জন্য কাজ করে? উত্তর হচ্ছে, অনেকটাই করে। তবে যাদের ত্বক অলরেডি উজ্জ্বল, তাদের ক্ষেত্রে এতট...

Canva Premium ফ্রি একবছর

ক্যনভা একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটিতে একটি বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট স্টাইল, এবং অন্যান্য উপাদান যা ব্যবহারকারীরা তাদের ডিজাইনে ব্যবহার করতে পারেন। ক্যনভা ব্যবহার করে আপনি যে ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে: পোস্টার ব্যানার লোগো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইনফোগ্রাফিক্স ব্রোশিওর ভিজিটিং কার্ড এবং আরও অনেক কিছু! ক্যনভা ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনি একটি টেমপ্লেট দিয়ে শুরু করতে পারেন বা একটি blank design তৈরি করতে পারেন। তারপর, আপনি আপনার ডিজাইনে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট এবং অন্যান্য উপাদান যোগ করতে পারেন। আপনি ডিজাইনের রঙ, ফন্ট, এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন। ক্যনভা একটি freemium প্ল্যাটফর্ম। এর মানে হল যে আপনি এটিকে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন, তবে কিছু প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনি সাবস্ক্রাইব করে আনলক করতে পারেন। ক্যনভা একটি দুর্দান্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই এবং দক্ষতার সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটি ব...