Skip to main content

বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম জানুন

ডিজিটাল যুগে ভিসা নিয়ে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ভুয়া ভিসা এবং প্রতারক চক্রের কারসাজিতে অনেকেই বিদেশ যাত্রার স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার বেদনা নিয়ে ফিরে আসেন। তাই বিদেশ ভ্রমণের পূর্বে ভিসার সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি।
আগেকার দিনে ভিসা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হতো। কিন্তু এখন আর সেই ঝামেলা নেই। বর্তমানে ঘরে বসেই পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে আপনার ভিসার সত্যতা নিশ্চিত করতে পারবেন অনলাইনে।

পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে ভিসা চেক করার পদ্ধতি-


বিভিন্ন দেশের জন্য ভিসা চেক করার নিয়ম ভিন্ন হতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
প্রথমে আপনার পছন্দের ইন্টারনেট ব্রাউজার (যেমন গুগল ক্রোম, মজিলা ফায়ারফক্স) খুলুন।
গুগল সার্চবারে গিয়ে আপনি যে দেশের ভিসা চেক করতে চান, সেই দেশের নামের সাথে “Visa Check” লিখে সার্চ করুন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি দুবাইয়ের ভিসা চেক করতে চান, তাহলে লিখুন “Dubai Visa Check”।
সার্চ রেজাল্ট থেকে সংশ্লিষ্ট দেশের অফিসিয়াল ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইট অথবা ভিসা প্রসেসিং ওয়েবসাইটে ক্লিক করুন।
ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর “Visa Status”, “Check Visa”, “Track Application” ইত্যাদি লেখা অনুসন্ধান করুন।
নির্দেশিত স্থানে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার, জন্ম তারিখ, ভিসা আবেদন নম্বর ইত্যাদি তথ্য প্রদান করুন।
“Submit” অথবা “Check Status” বাটনে ক্লিক করুন।
এরপর আপনার ভিসার স্ট্যাটাস স্ক্রিনে দেখানো হবে। ভিসা অনুমোদিত হয়েছে কিনা, ভিসার মেয়াদ কতদিন, কতবার প্রবেশের অনুমতি রয়েছে, ইত্যাদি তথ্য জানতে পারবেন।
কিছু জনপ্রিয় দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম দেখানো হলো-

কাতারের ভিসা চেক করুন-


নিচের ধাপগুলো ফলো করে ভারতের ভিসা হয়েছে কিনা চেক করুন।
ধাপ ১: ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন- ভিসা চেক করার জন্য https://ift.tt/JTwFznL
ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
ধাপ ২: একাউন্ট তৈরি করুন
এরপরে Create a tracker account তৈরি করতে হবে। এজন্য Create your account বাটনে ক্লিক করে Unique client identifier or client ID, Application number, First & Last name, Date of birth এবং Country সিলেক্ট করে next step অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: পাসওয়ার্ড দিন
এই পর্যায়ে Password দিতে হবে। একটি শক্তিশালী Password দিতে হবে এবং Password মনে রাখতে হবে। কারণ পরবর্তীতে লগইন করতে Password লাগবে।
ধাপ ৪: একাউন্টে লগইন করুন-
এখন সরাসরি Sing in বাটনে ক্লিক করে ক্লাইন্ট আইডি ও পাসপোর্ট দিয়ে লগইন করুন। এবার সব ঠিকঠাক থাকলে ভারতের ভিসার যাবতীয় ইনফরমেশন চলে আসবে।
কাতারের ভিসা প্রসেসিং টাইম কেমন লাগবে?
কাতারের একেক ভিসার প্রসেসিং টাইম একেক রকম।ভিজিট ভিসার প্রসেসিং টাইম ১ মাস থেকে ২ মাস পর্যন্ত। আবার স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং টাইম সবোর্চ্চ ২ মাস‌। এছাড়া এদেশের ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রসেসিং টাইম ৩-৪ মাস।
তবে অনেক সময় ভিসা প্রসেসিং হতে এর থেকেও কম সময় লাগে। তাছাড়া কখনো কখনো এর চেয়ে আরো বেশি সময়ও লাগতে পারে।

কানাডা ভিসার স্ট্যাটাস চেক-


নিচের ধাপগুলো ফলো করে কানাডা ভিসা হয়েছে কিনা চেক করুন।
ধাপ ১: ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন- কানাডা ভিসা চেক করার জন্য https://ift.tt/cl36YGm ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

ধাপ ২: একাউন্ট তৈরি করুন-
এরপরে Create a tracker account তৈরি করতে হবে। এজন্য Create your account বাটনে ক্লিক করে Unique client identifier or client ID, Application number, First & Last name, Date of birth এবং Country সিলেক্ট করে next step অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: পাসওয়ার্ড দিন
এই পর্যায়ে Password দিতে হবে। একটি শক্তিশালী Password দিতে হবে এবং Password মনে রাখতে হবে। কারণ পরবর্তীতে লগইন করতে Password লাগবে।
ধাপ ৪: একাউন্টে লগইন করুন
এখন সরাসরি Sing in বাটনে ক্লিক করে ক্লাইন্ট আইডি ও পাসপোর্ট দিয়ে লগইন করুন। এবার সব ঠিকঠাক থাকলে কানাডা ভিসার যাবতীয় ইনফরমেশন চলে আসবে।
এভাবেই উপরোক্ত ধাপ ফলো করে কানাডা ভিসা আসল না নকল চেক করতে পারবেন।
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কানাডা ভিসা চেক করুন-
পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কানাডা ভিসা যাচাই করতে https://ift.tt/cl36YGm এই লিংকে প্রবেশ করুন;
এখান থেকে Create a tracker account বাটনে ক্লিক করে কানাডা ভিসার তথ্য প্রদান করুন;
অতঃপর Sing in বাটনে ক্লিক করে Client ID & পাসপোর্ট নাম্বার দিলে কানাডা ভিসার স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।
উপরোক্ত এই ৩ টি ধাপ ফলো করে সহজেই কানাডা ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন।
উপরোক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে যদি কানাডা ভিসার তথ্য আসে তাহলে আপনার কানাডা ভিসা আসল। আর যদি কোন তথ্য না আসে তাহলে পুনরায় সঠিক তথ্য দিয়ে কানাডা ভিসা চেকিং করুন।
শুধু পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে কি কানাডা ভিসা চেক করা যাবে?
না, শুরু পাসপোর্ট নাম্বার দিয়ে অনলাইনে কানাডার ভিসা চেক করার কোন পদ্ধতি নাই। অনলাইনে কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা চেক করতে ক্লাইন্ট আইডি, এপ্লিকেশন নাম্বার, আবেদনকারীর নাম, জন্ম তারিখ ও দেশের নাম লাগবে।
কানাডা ভিসা প্রসেসিং টাইম কেমন লাগবে?
কানাডার একেক ভিসার প্রসেসিং টাইম একেক রকম। কানাডার ভিজিট ভিসার প্রসেসিং টাইম ১ মাস থেকে ২ মাস পর্যন্ত। আবার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং টাইম সবোর্চ্চ ২ মাস‌। এছাড়া কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রসেসিং টাইম ৩-৪ মাস।
তবে অনেক সময় কানাডা ভিসা প্রসেসিং হতে এর থেকেও কম সময় লাগে। তাছাড়া কখনো কখনো এর চেয়ে আরো বেশি সময়ও লাগতে পারে।

ইন্ডিয়ার ভিসা চেক করুন-


নিচের ধাপগুলো ফলো করে ভারতের ভিসা হয়েছে কিনা চেক করুন।
ধাপ ১: ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন
ইন্ডিয়ার ভিসা চেক করার জন্য https://ift.tt/cWsvw2V ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
ধাপ ২: একাউন্ট তৈরি করুন
এরপরে Create a tracker account তৈরি করতে হবে। এজন্য Create your account বাটনে ক্লিক করে Unique client identifier or client ID, Application number, First & Last name, Date of birth এবং Country সিলেক্ট করে next step অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩: পাসওয়ার্ড দিন
এই পর্যায়ে Password দিতে হবে। একটি শক্তিশালী Password দিতে হবে এবং Password মনে রাখতে হবে। কারণ পরবর্তীতে লগইন করতে Password লাগবে।
ধাপ ৪: একাউন্টে লগইন করুন
এখন সরাসরি Sing in বাটনে ক্লিক করে ক্লাইন্ট আইডি ও পাসপোর্ট দিয়ে লগইন করুন। এবার সব ঠিকঠাক থাকলে ভারতের ভিসার যাবতীয় ইনফরমেশন চলে আসবে।
ভারতের ভিসা প্রসেসিং টাইম কেমন লাগবে?
ভারতের একেক ভিসার প্রসেসিং টাইম একেক রকম।ভারতেরর ভিজিট ভিসার প্রসেসিং টাইম ১ মাস থেকে ২ মাস পর্যন্ত। আবার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং টাইম সবোর্চ্চ ২ মাস‌। এছাড়া কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রসেসিং টাইম ৩-৪ মাস।
তবে অনেক সময় ভিসা প্রসেসিং হতে এর থেকেও কম সময় লাগে। তাছাড়া কখনো কখনো এর চেয়ে আরো বেশি সময়ও লাগতে পারে।
ভিসা চেক করার জন্য সবসময় সংশ্লিষ্ট দেশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ব্যবহার করুন।
ব্যক্তিগত তথ্য যেমন পাসপোর্ট নম্বর, জন্ম তারিখ ইত্যাদি কোনো অজানা ওয়েবসাইটে প্রদান করা থেকে বিরত থাকুন।
ভুয়া ওয়েবসাইট এবং প্রতারক চক্র থেকে সাবধান থাকুন।
যেকোনো ধরনের সন্দেহজনক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস অথবা ভিসা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করুন।
শেষকথা-
বর্তমান যুগে প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে। এখন আপনি ঘরে বসেই অনলাইনে আপনার ভিসার স্ট্যাটাস চেক করতে পারবেন। তবে সর্বদা সতর্ক থাকবেন এবং প্রতারণার হাত থেকে সাবধান থাকবেন।

The post বিভিন্ন দেশের ভিসা চেক করার নিয়ম জানুন appeared first on Trickbd.com.



source https://trickbd.com/technology-updates/2525134

Comments

Popular posts from this blog

আবারো ফেইসবুকে নিন আনলিমিটেড ফলোয়ার

আসসালামু আলাইকুম। সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। তো বন্ধুরা আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি এমন একটি এপ যার মাধ্যম আপনারা আপনার আইডিতে যত চান ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। তো শুরু করা যাক…. ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ তার ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা কম বেশি সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর সবাই চেষ্টা করি আমাদের ভার্চুয়াল লাইফটাকে সবার থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে। আর তার জন্য কতো কিছুই না করি! কিভাবে ফ্যান, ফলোয়ার বাড়ানো যায় কিংবা নিজের ফেসবুক প্রফাইলটাকেও চেষ্টা করি একটু ভিন্ন রূপে সাজাতে। আপনি অবশ্যই ফেসবুক অটো ফলোয়ারের কথা শুনেছেন! আর এই সামান্য কিছু ফেসবুক অটো লাইক, ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট, ফেসবুকে অটো কমেন্ট, ফেসবুক পেজে অটো লাইক কিংবা অটো ফলোয়ার নিতে অনেকেই আবার নিজের স্বাধের ফেসবুক আইডিটি তুলে দেয় থার্ড পার্টি কোনো ওয়েবসাইটের হাতে। তবে আজকে আমি আপনাদের কে শিখাবো কিভাবে আপনার ফেসবুকে প্রফাইলে আনলিমিটেড ফলোয়ার নিবেন। তবে এটা কোনো অনিরাপদ উপ

৪০০০৳ হাজার টাকার Document Scanner – ‍app Premium বানিয়েন নিন।

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। আশা করছি আপনারা আল্লাহর রহমতে সুস্থ্য আছেন ইনশা’আল্লাহ। Document Scan করার জন্য অত্যন্ত সুন্দর একটি এ্যাপ। CamScanner এর বিকল্প বলতে পারেন, অনেক সহজ ও সাবলিল একটি এ্যাপ। আশা রাখি আপনাদের অনেক কাজে দিবে। আমি শিখি, আমি শেখায়, আমি পৃথিবীতে অজ্ঞ এসেছিলাম তাই জ্ঞান অজর্ন করি [বিঃদ্রঃ এ্যাপ আপডেট হলে Modding System Change হয়ে যায়, তাই কেউ না বুঝে কমেন্টে গালিগালাজ করবেন না]ৎ Modding app Download MT Mananer NP Manager প্রথমে  PlayStore থেকে এ্যাপটি ডাউনলোড করে নিন এবং অ্যাপটি MT Manager দিয়ে Extract করে নিন। একটি APKS ফাইল আসবে ওটাকে Kill ‍Signature করতে হবে। নিচে দেখুন এ্যাপটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে প্রিমিয়াম বানাতে হবে। MT Manager দিয়ে Extract করার পর নিচে দেখুন একটি APKS ফাইল চলে এসেছে। APKS ফাইলে ক্লিক করে View করুন। উপরে দেখুন একটি base ফাইল পাবেন, ওটাকে চেপে ধরে Extract করুন। Extract করার পর ডান পার্শ্বে base ফাইলটি চলে আসবে। এখন ডান পাশের  base টিতে ক্লিক করে Function ক্লিক করুন। নিচ থেকে Kill Sign

পর্ব ৯ ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস পরিচিতি

আসসালামু আলাইকুম ! ডিজিটাল কারেন্সী শিক্ষা পর্ব ৯ এ  আজকে আমরা জানবো ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস কি? ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস মুলত একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে গবেষনা করা হয় যেটা দিয়ে বোঝার চেস্টা করা হয় যে এই asset টা সামনে দাম বাড়বে নাকি কমবে ! সব মার্কেটের ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করার নিজস্ব পদ্ধতি আছে । উদাহরন হিসেবে যেমন শেয়ার বাজারে একটা স্টকের বা সেই কোম্পানীর  ব্যবসার মডেল,মার্কেট শেয়ার,ব্যবসার কৌশল,পরিচালনা কে করছে, এটা কোন ইন্ড্রাস্টির এসমস্ত জিনিস দেখা হয় ! এবং তথ্য হিসেবে দেখা হয় ব্যালান্স শিট,কি পরিমান সম্পদ আছে,দায় কি রকম ,revenue/cashflow  এসব ! এগুলো সবই পাব্লিকের জন্য উন্মুক্ত তথ্য থেকেই গবেষনা করা হয় ! forex market এ দেখা হয় যে যেই কারেন্সী নিয়ে কাজ করছে  সেই দেশের central bank এর বিভিন্ন ঘোষনা,রাজনীতি,যুদ্ধ, মুদ্রাস্ফীতি, সুদের হার,GDP এসব বিষয় ! এই সব এনালাইসিস এর মুল লক্ষ্য হলো একটা asset এর intrinsic value বা আসল  দাম বের করার চেস্টা  করা ! যাতে ভালো ইনভেস্ট করার সুযোগ পাওয়া যায় ! আমরা যেহেতু অন্য মার্কেট এর জন্য ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস করবো !