Skip to main content

অপারেটিং সিস্টেম কি? কিভাবে কাজ করে? জনপ্রিয় কয়েকটি অপারেটিং সম্পর্কে জানুন ।

আসসালামুআলাইকুম

হ্যালো গাইজ, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলেই ভালো আছেন । আর ভালো না থাকলে তো , ভালো লাগার ওয়েবসাইট TrickBD আছেই ।
তো যাই হোক, আপনাদের মাঝে একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হলাম । পোষ্টটা কি হতে পারে তা আপনারা অনুমান করে ফেলেছেন টাইটেল দেখেই । হ্যঁ, বন্ধুরা আজকের এই পোষ্টে আমরা অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করবো ।
প্রথমে আমরা জানবো অপারেটিং সিস্টেম কি? এবং কিভাবে কাজ করে?

উইকিপিডিয়ার মতে, অপারেটিং সিস্টেম হলো একটা সিস্টেম সফটওয়্যার যা কমপিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার রিসোর্স সমূহকে ম্যানেজ করে । অর্থাত ,অপারেটিং সিস্টেম কমপিউটার হার্ডওয়্যার এর সাথে কাজ করে । এবং কমপিউটারের যাবতীয় প্রোগ্রাম সমূহকে নিয়ন্তন করে । কমপিউটারের জন্যো বিভিন্ন ধরনের কমপিউটার ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে ।যেমন, উয়িন্ডোজ, আই ও এস, ম্যাক, লিনাক্স, আ্যাপল ইত্যাদি । কমপিউটার প্রযুক্তিতে সবচেয় বহুল ব্যাবহিত অপারেটিং সিস্টেম হলো উয়িন্ডোজ । নিচে আমরা উয়িন্ডোজ নিয়ে আলোচনা করবো । স্মার্টফোনের জন্য রয়ছে ফেন ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম । যেমন, আ্যানড্রয়েড ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেম হলো আ্যানড্রয়েড । আ্যাপল এর জন্যো আই ও এস ।এছাড়া সিম্বিয়ান ফোনের জন্য অপারেটিং সিস্টেম ছিল সিম্বিয়ান ।যা বর্তমান প্রযুক্তিতে একদমি বিরল ।কেনোনা নকিয়া 2011 সালে অফিসিয়ালি সিম্বিয়ান ফোন উতপাদন বন্ধ করে দেয় । তবে 2010 সাল পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ছিল সিম্বিয়ান ।
অপারেটিং সিস্টেমের কছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো ফাইল ম্যানেজম্যান্ট,মেমোরি ম্যানেজম্যান্ট,প্রসেসর ম্যানেজম্যান্ট, ডিভাইস ম্যানেজম্যান্ট, নেটওয়ার্ক ম্যানেজম্যান্ট, সিকিউরিটি, কন্ট্রোল সিস্টেম ইত্যাদি ।
চলুন জেনে নেই বিশ্বের জনপ্রিয় কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ।

উয়িন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম

উয়িন্ডোজ একটি গ্রাফিকেল অপারেটিং সিস্টেম ।যা মাইক্রোসফ্ট কর্পরেশন ডেভলপ করে থাকে । আমরা সকলেই কমবেশি উয়িন্ডোজ এর সাথে পরিচিত । এটি বিশ্বব্যাপী বহুল ব্যাবহারকৃত অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি । সমগ্র বিশ্বেই এটি খুবি জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম ।
এটি ব্যাবহারকারীদের বিভিন্ন সেবা প্রদান করে থাকে । যেমন ফাইল সংরক্ষণ করা,গেমস খেলা, ভিডিও দেখা, ইন্টারন্ট সংযুক্ত করা ,সফটওয়্যার রান করা ইত্যাদি ।
মাইক্রোসফ্ট উয়িন্ডোজ সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয় 10 নভেম্বর 1983 সালে । উয়িন্ডোজ 1.0 রিলিজ করা হয় 20 নভেম্বর 1985 সালে ।
বর্তমানে উয়িন্ডোজ এর সর্বশেষ ভার্সন হলো “মাইক্রোসফ্ট উয়িন্ডোজ 11″।
মাইক্রোসফ্ট উয়িন্ডোজ রিলিজ হওয়ার পূর্বে মাইক্রোসফ্ট এর ইউজার রা সিঙ্গেল লাইন কমান্ড টাস্ক অপারেটিং সিস্টেম এম এস-ডস ব্যাবহার করতো । মাইক্রোসফ্ট উয়িন্ডোজ সি, সি++ এবং আ্যাসেম্বেলি ল্যাংগুয়েজ দ্বারা ডেভলপ করা হয়েছে ।

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম

লিনাক্ষ হলো একটি ইউনিক্স অপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম লিনাক্স কার্নাল ভিত্তিক । কর্নাল অপারেটিং সিস্টেমটি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়েছিল 17 সেপ্টেম্বর 1991 সালে লিনাস টরভালডস এর মাধ্যমে ।সাধারণত লিনাক্স ডেভলপ করা হয়েছিল পারসনাল কমপিউটার এর জন্য যা ইনটেল x86 আর্কিটেকচার ভিত্তিক ছিল ।লিনাক্স বানিজ্যিক ভাবে অথবা বানিজ্যিক ছাড়া উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাবহার করা যাবে ।লিনাক্স একটি অপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম । নভেম্বর 2022 এর হিসাব অনুযায়ি লিনাক্স ডেস্কটপ কমপিউটারে ব্যাবহার করা হয় 2.6% ।অনেক ইমবেডেড সিস্টেম ও লিনাক্সে ইক্সকিউট হয় । লিনাক্স অপেন সোর্স এবং ফ্রি সফটওয়্যার এর একটি অসাধারণ উদাহারণ । GPL (General Public License) এর শর্ত মেনে যে কেঊ চাইলেই এর সোর্স কোড ব্যাবহার করতে পারে । লিনাক্স কার্নাল GPLv2 এর লাইসেন্সের আওতায় । লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম এর প্রত্যেক ভার্সন এই হার্ডওয়ার রিসোর্স, আ্যাপ্লিকেশন লঞ্চ এবং নিয়ন্তন করা ইত্যাদি ম্যানেজ করে ।এবং কিছু ইউজার ইন্টারফেস প্রদান করে ।

ম্যাক ওএস অপারেটিং সিস্টেম

কমপিউটার ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমগুলোর মধ্যে ম্যাক উএস একটি । এটিউ বেশ জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম । জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ম্যাক উএস এর অবস্থান মাইক্রোসফ্ট উয়িন্ডোজ এর পরেই । এটি একটি গ্রাফিকেল অপারেটিং সিস্টেম । যা আ্যাপল আই এন সি দ্বারা ডেভলপ এবং বাজারজাত করা হয়ে আসছে । ম্যাক উএস 1984 সালে পরিচিতি লাভ করে । ম্যাক উএস অপারেটিং সিস্টেম শুধুমাত্র আ্যাপল কমপিউটার এর জন্যো ডিজাইন করা হয়েছে ।তাই এটা শুধুমাত্র আ্যাপল কমপিউটারেই চলবে । আপনি উয়িন্ডোজ এ ম্যাক উএস চালাতে পারবেন না । এটা ইনটেল x86 আর্কিটেকচার সাপোর্ট করে না ।ম্যাক উএস সি, সি++, অবজেক্টিভ সি, সুইফট এবং আ্যাসেম্বেলি ভাষা দ্বারা ডেভলপ করা হয়েছে ।

আই ও এস অপারেটিং সিস্টেম

আই ও এস হলো একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম । যা আ্যাপল কম্পানি ডেভলপ এবং নিয়ন্তন করে থাকে । এই অপারেটিং সিস্টেমটি 2007 সালে প্রাথমিক ভাবে মুক্তি লাভ করে ।এই অপারেটিং সিস্টেম টি আই ফোনের জন্য তঔরি করা হয় । শুরুতে আই ফোনের জন্য তঔরি করা হলেউ পরবর্তীতে অনেক ডিভাইসে এটি ব্যাবহার করা হয় । আ্যাপল এর বেশিরভাগ যন্তই এ অপারেটিং সিস্টেমে চলে । যেমন আই ফোন, আই প্যাড, আই পড টাচ । আই উ এস বহুল ব্যাবহ্ৃত একটি অপারেটিং সিস্টেম । মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম গুলোর মধ্যে আ্যানড্রয়েড এর পরেই আই উ এস বিশ্বের জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ।
আই উ এস সি, সি++, অবজেক্টিভ সি, আ্যাসেম্বেলি ভাষা দ্বারা ডেভলপ করা হয়েছে ।

আ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম

আ্যানড্রয়েড একটি মোবাইল ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টচ ।এটি আমাদের খুব পরিচিত অপারেটিং সিস্টেমআমরা সবাই কম বেশি এর সাথে পরিচিত । আ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম মডিফাইড লিনাক্স কার্নেল এর উপর ভিত্তি করে বানানো হয়েছে ।
এই অপারেটিং সিস্টেম টি গুগল ডেভলপ করে থাকে । 2005 সালে গুগল প্রাথমিক ডেভলপারদের কাছ থেকে আ্যানড্রয়েড কিনে নেয় ।
আ্যানড্রয়েড এর সর্বশেষ ভার্সন আ্যানড্রয়েড 13।
আ্যানড্রয়েড বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম । 2007 সালে সর্বপ্রথম আ্যানড্রয়েড প্রকাশিত হয় । সেপ্টেম্বর 2008 সালে প্রথম আ্যানড্রয়েড ডিভাইস রিলিজ হয় ।
গুগলের সব ধরনের সার্ভিস এতে সাপোর্ট করবে । আ্যানড্রয়েড ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে গুগল ক্রোম ব্যাবহার করে । আই উ এস ডিফল্ট ব্রাউজার হিসেবে সাফারি ব্রাউজার ব্যাবহার করে । আ্যানড্রয়েড জাভা, কটলিন, সি, সি++ ভাষা দ্বারা ডেভলপ করা হয়েছে ।






The post অপারেটিং সিস্টেম কি? কিভাবে কাজ করে? জনপ্রিয় কয়েকটি অপারেটিং সম্পর্কে জানুন । appeared first on Trickbd.com.



source https://trickbd.com/operating-system/871720

Comments

Popular posts from this blog

আবারো ফেইসবুকে নিন আনলিমিটেড ফলোয়ার

আসসালামু আলাইকুম। সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। তো বন্ধুরা আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি এমন একটি এপ যার মাধ্যম আপনারা আপনার আইডিতে যত চান ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। তো শুরু করা যাক…. ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ তার ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা কম বেশি সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর সবাই চেষ্টা করি আমাদের ভার্চুয়াল লাইফটাকে সবার থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে। আর তার জন্য কতো কিছুই না করি! কিভাবে ফ্যান, ফলোয়ার বাড়ানো যায় কিংবা নিজের ফেসবুক প্রফাইলটাকেও চেষ্টা করি একটু ভিন্ন রূপে সাজাতে। আপনি অবশ্যই ফেসবুক অটো ফলোয়ারের কথা শুনেছেন! আর এই সামান্য কিছু ফেসবুক অটো লাইক, ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট, ফেসবুকে অটো কমেন্ট, ফেসবুক পেজে অটো লাইক কিংবা অটো ফলোয়ার নিতে অনেকেই আবার নিজের স্বাধের ফেসবুক আইডিটি তুলে দেয় থার্ড পার্টি কোনো ওয়েবসাইটের হাতে। তবে আজকে আমি আপনাদের কে শিখাবো কিভাবে আপনার ফেসবুকে প্রফাইলে আনলিমিটেড ফলোয়ার নিবেন। তবে এটা কোনো অনিরাপদ উপ...

Glutathione – গায়ের রঙ ফর্সা করতে কার্যকারিতা, ব্যবহার এবং সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে সবকিছু (Skin health)

আসসালামু আলাইকুম   আজকের আলোচনায় আমরা জানবো Glutathione  এর কার্যকারিতা, ব্যবহার, এবং সাইড ইফেক্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের জন্য এটি উপকারী হবে।  Glutathione এর কাজ কি? (benefits of glutathione) গ্লুটাথিওয়ন বর্তমান সময়ে, বহুল জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য। এছাড়াও গ্লুটাথিওয়ন (Glutathione) নেওয়ার পর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে যায়, লিভার ডিটক্স (পরিষ্কার হয়) এবং রক্তের বিভিন্ন দুষণ সমস্যা গুলোও ঠিক করে দেয়। দেখা গেছে যে, যাদের মুখের ত্বক, শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে, কম উজ্জল হয়ে থাকে তাও এক রকম করে দেয় গ্লুটাথিওয়ন। এক কথায় সারা শরীরের ত্বকের উপর কাজ করে। এছাড়াও আমাদের ত্বক বেশী রোদ্রে যাওয়ার ফলে কালচে (ট্যান) হয়ে যায়, এটাও দ্রুত হিল করে গ্লুটাথিওয়ন। এমনকি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত ও দ্রুত সারিয়ে তোলে গ্লুটাথিওয়ন এর পরিমান শরীরে বেশি থাকলে। তবে কসমেটিকস জগতে গ্লুটাথিওয়ন এর একটি ফলাফল হলো স্কিন উজ্জ্বল, ও ২/৩ সেড ফর্সা করা, যার কারনে এটি বহুল পরিচিত। এটি কি সবার জন্য কাজ করে? উত্তর হচ্ছে, অনেকটাই করে। তবে যাদের ত্বক অলরেডি উজ্জ্বল, তাদের ক্ষেত্রে এতট...

Canva Premium ফ্রি একবছর

ক্যনভা একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটিতে একটি বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট স্টাইল, এবং অন্যান্য উপাদান যা ব্যবহারকারীরা তাদের ডিজাইনে ব্যবহার করতে পারেন। ক্যনভা ব্যবহার করে আপনি যে ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে: পোস্টার ব্যানার লোগো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইনফোগ্রাফিক্স ব্রোশিওর ভিজিটিং কার্ড এবং আরও অনেক কিছু! ক্যনভা ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনি একটি টেমপ্লেট দিয়ে শুরু করতে পারেন বা একটি blank design তৈরি করতে পারেন। তারপর, আপনি আপনার ডিজাইনে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট এবং অন্যান্য উপাদান যোগ করতে পারেন। আপনি ডিজাইনের রঙ, ফন্ট, এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন। ক্যনভা একটি freemium প্ল্যাটফর্ম। এর মানে হল যে আপনি এটিকে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন, তবে কিছু প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনি সাবস্ক্রাইব করে আনলক করতে পারেন। ক্যনভা একটি দুর্দান্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই এবং দক্ষতার সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটি ব...