Skip to main content

DCIM কি ? এটার কি দরকার? কেন Android Phone এবং Digital Camera তে এটার ব্যবহার বেশি হয় ?

আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।

আমি সোহাগ ! আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !

তাড়াহুড়ো করে পড়ে অযথা নিজের সময় নষ্ট করবেন না ! অনেক সময় নিয়ে একটি পোস্ট লিখতে হয় যেন আপনার বুঝতে সুবিধা হয়, তাই পড়তে হলে ধৈর্য্য সহকারে পুরো পোস্ট পড়ুন।

DCIM নাম তো অবশ্যই শুনেছেন এবং দেখেছেন আপনার স্মার্টফোন ফোন এবং ডিজিটাল ক্যামেরার SD Card বা Memory Card এ ! যদি আপনি আপনার স্মার্টফোনের ক্যামেরাতে অথবা যেকোনো ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে কোনো ফটো ক্যাপচার করেছেন, ভিডিও রেকর্ড করেছেন আর সেগুলো আপনি আপনার ফোনের ফাইল ম্যানেজারে গিয়ে চেক করেছেন অথবা সেটা আপনি কম্পিউটার সিস্টেমে কপি করার চেষ্টা করেছেন তো আমি নিশ্চিত যে আপনি কখনো না কখনো এই DCIM ফোল্ডার অবশ্যই দেখেছেন।

কিন্তু আপনি কি কখনো এটা ভেবেছেন যে আসলে এই DCIM ফোল্ডার কি ? এর পুরো নাম কি ? আর স্মার্টফোনে ব্যবহৃত প্রত্যেক মেমোরি কার্ডে এবং ডিজিটাল ক্যামেরায় ব্যবহৃত প্রত্যেক মেমোরি কার্ডে এই DCIM নামের ফোল্ডার‌ই কেন থাকে? অন্য কোনো নামে কেন থাকে না ? এর আসল কাহিনী কি ? এসব জানা আপনার প্রয়োজনীয়। এসব জানতে হলে আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।

DCIM এর পুরো নাম হলো: DCIM – Digital Camera Images

এটা এক ধরনের ডিরেক্টরি বা সহজ ভাষায় বলতে গেলে একটি ফেল্ডার যেটা সব ধরনের স্মার্টফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজ, এক্সটার্নাল মেমোরি কার্ড এবং প্রত্যেক ডিজিটাল ক্যামেরার এসডি কার্ডে এই DCIM নামের ফোল্ডার নিজে থেকেই তৈরি হয়ে যায়।

যদি আপনি আপনার স্মার্টফোনের ফাইল ম্যানেজারে গিয়ে Internal Storage এবং External Memory Card এ চেক করলে আপনি অবশ্যই এই DCIM নামের ফোল্ডার দেখতে পাবেন। এছাড়াও যতগুলো ডিজিটাল ক্যামেরা (DSLR) আছে সেগুলোতে যেসব মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা হয় সেটা যদি আপনি আপনার কম্পিউটারে ঢুকিয়ে চেক করলে সেখানেও এই DCIM নামের ফোল্ডার অবশ্যই দেখতে পাবেন।

এখন যদি আপনি বলেন যে কি হবে যদি আমি এই DCIM ফোল্ডার Delete করে দিই ?

তাহলে বলছি বেশি কিছুই হবে না। এই ফোল্ডার যদি আপনি ডিলিট করেন তাহলে এই ফোল্ডারে যেসকল ডেটা, ফটো, ভিডিও, যেসব আপনি ক্যাপচার করেছেন, ভিডিও রেকর্ড করেছেন নিজের স্মার্টফোন থেকে অথবা ডিজিটাল ক্যামেরা থেকে তখন ঐ সব কিছু ডিলিট হয়ে যাবে।

এর যখন আপনি আবার স্মার্টফোনে বা ডিজিটাল ক্যামেরাতে কোনো ফটো ক্যাপচার করবেন, ভিডিও রেকর্ড করবেন তখন এই DCIM নামের ফোল্ডার আবার নিজে থেকেই তৈরি হয়ে যাবে। মানে যখন‌ই আপনি এই ফোল্ডার ডিলিট করবেন এবং তারপর যদি আপনি স্মার্টফোনের ক্যামেরা এবং ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার করবেন তো তখন এই DCIM নামের ফোল্ডার Automatic Create হয়ে যাবে এবং সেখানে আপনার Data Store হতে শুরু করবে। এবং এখানে আপনি কিছু Sub Folders ও পেতে পারেন। (.trash .data .tmp etc. যদি Show hidden files অপশন চালু করা থাকে)

কিন্তু আপনি যেসব ফটো ক্যাপচার করবেন, সেই সব এই DCIM ফোল্ডারেই পেয়ে যাবেন। এটা এক ধরনের Default Directory যেটা একটা Standard Rules কে Follow করে। আর প্রায় সবধরনের Digital Camera এবং Smartphone Camera এই Standard Rules কেই Follow করে যেন যেকোনো Photo, Video হোক সেটা Smartphone এর Camera তো তোলা বা Digital Camera তে তোলা হোক সেই সব যেন একটা নির্দিষ্ট ফোল্ডার যেটা DCIM এই ফোল্ডারেই Save হয়।

যেন কোনো Software এবং যে কোনো ব্যক্তি সহজেই এই Photo এবং Video গুলো Import/Export করার প্রয়োজন হলে যেন সহজেই Identify করতে পারে। এই কারণেই এই DCIM ফোল্ডার ব্যবহৃত হয়, যেটা আমার ব্যক্তিগত দিক দিয়ে উপকার করেছে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে যে ভাই এই Standard Rules কি এবং কেন এটা প্রায় সবধরনের ক্যামেরাতে Apply করা হয় ?

তো এটা জানতে হলে আগে আপনাকে জানতে হবে যে,

DCF কি ?

লে অলসঃ ওহ্ ! এখন আবার এই DCF এ কোথা থেকে এলো ? এর‌ও কি কোনো বিশেষ কাজ রয়েছে নাকি অযথা DCIM ফোল্ডারের সাথে যুক্ত হয়েছে ?

তো এই DCF এর পুরো নাম হলোঃ Design rule for Camera File system

এটা এক ধরনের Standard, একধরনের Rule যেটাতে বলা হয় যে যেকোনো ক্যামেরা থেকে নেয়া ফটো কিভাবে Optimize করতে হবে, কিভাবে Manage করতে হবে, সেটার File System কেমন হবে, সেটা কোন Folder এ Save হবে, সেটার Name কেমন হবে ইত্যাদি এই সমস্ত Rule আসে এই DCF এর মধ্যে।

তো এই DCF তৈরিকারী Organization এর নাম JEITA যেটা Japan এর একটি Tread Organization যেটা Electronic এবং IT Industry তে।

তো এটাতে বলা হয়েছে যে যেকোনো Digital Camera থেকে হতে পারে সেটা DSLR Camera হতে পারে Smartphone/Android Phone এর Camera এগুলো থেকে যেসকল Photo/Video নেয়া হয় সেগুলোর File Structure কেমন হবে, Name, Rename, Added Name, Numberic Name কেমন এবং কি হবে, File Format কি হবে, File Type কেমন হবে, File Short By কেমন হবে ইত্যাদি Rule এটাতে Command করা আছে।

আর এই Rules গুলোই বেশিরভাগ Electronic Company যারা Camera তৈরি করে হোক সেটা Smartphone এর বা Digital Camera তারা এই DCF Rules কেই Follow করে। একারণেই DCIM – DCF নিজেদের মধ্যে Connected !

তো এই হলো DCIM ফোল্ডারের কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য। আশা করছি এই পোস্টের মাধ্যমে আপনি কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ Bkash Live Chat করার সহজ উপায় | Bkash Account খোলার নিয়ম — 2022

আরও পড়ুনঃ Facebook Status Bangla – 2022

এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ। 🙂

কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার Facebook I’d

The post DCIM কি ? এটার কি দরকার? কেন Android Phone এবং Digital Camera তে এটার ব্যবহার বেশি হয় ? appeared first on Trickbd.com.



source https://trickbd.com/guidelines/798591

Comments

Popular posts from this blog

জনপ্রিয় এনিমে Attack on Titan Season 1 & 2 হিন্দি ডাব | দেখুন ও ডাউনলোড করুন

Attack on Titan (Shingeki no Kyojin) হল এক জনপ্রিয় জাপানি এনিমে, যা বর্তমান সময়ে অনেক জনপ্রিয়। কিছু দিন আগেই এই এনিমেটির সিজন ১ ও ২ এর অফিশিয়াল হিন্দি ডাব রিলিজ হয়েছে। আপনি হিন্দি ডবে এই এনিমেটি দেখতে চান তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য! এই পোস্টটি থেকে আপনি বিনামূল্য এমিটিকে ডাউনলোড করে দেখতে পারবেন। Attack on Titan Season 1 হিন্দি ডাব Attack on Titan-এর প্রথম সিজনে আমরা দেখি, কীভাবে ইরেন ইয়েগার এবং তার বন্ধুরা ভয়ানক টাইটানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। হঠাৎ এক বিশাল আকারের টাইটান ওয়াল মারিয়া ভেঙে শহরে আক্রমণ চালায়, যা মানবজাতির জন্য এক মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ইরেন প্রতিজ্ঞা করে, সে সমস্ত টাইটান ধ্বংস করবে এবং মানবতার প্রতিশোধ নেবে। সম্পূর্ণ এনিমেটিকে ডাউনলোড করে বিস্তারির কাহিনি দেখুন। সিজন ১ এর সরাসরি ডাউনলোড লিংক নিচে দিয়ে দিলাম – Pixeldrain Download Link – Zip File (5.30 GB) Mega – Zip FIle Attack on Titan Season 2 হিন্দি ডাব দ্বিতীয় সিজনে গল্প আরও রহস্যময় মোড় নেয়। নতুন নতুন টাইটানদের পরিচয় পাওয়া যায় এবং জানা যায় কিছু পরিচিত চরিত্ররাও আসলে টাইটান রূপান্তরিত। ইরেন ও তার দল মানব...

Glutathione – গায়ের রঙ ফর্সা করতে কার্যকারিতা, ব্যবহার এবং সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে সবকিছু (Skin health)

আসসালামু আলাইকুম   আজকের আলোচনায় আমরা জানবো Glutathione  এর কার্যকারিতা, ব্যবহার, এবং সাইড ইফেক্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের জন্য এটি উপকারী হবে।  Glutathione এর কাজ কি? (benefits of glutathione) গ্লুটাথিওয়ন বর্তমান সময়ে, বহুল জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য। এছাড়াও গ্লুটাথিওয়ন (Glutathione) নেওয়ার পর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে যায়, লিভার ডিটক্স (পরিষ্কার হয়) এবং রক্তের বিভিন্ন দুষণ সমস্যা গুলোও ঠিক করে দেয়। দেখা গেছে যে, যাদের মুখের ত্বক, শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে, কম উজ্জল হয়ে থাকে তাও এক রকম করে দেয় গ্লুটাথিওয়ন। এক কথায় সারা শরীরের ত্বকের উপর কাজ করে। এছাড়াও আমাদের ত্বক বেশী রোদ্রে যাওয়ার ফলে কালচে (ট্যান) হয়ে যায়, এটাও দ্রুত হিল করে গ্লুটাথিওয়ন। এমনকি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত ও দ্রুত সারিয়ে তোলে গ্লুটাথিওয়ন এর পরিমান শরীরে বেশি থাকলে। তবে কসমেটিকস জগতে গ্লুটাথিওয়ন এর একটি ফলাফল হলো স্কিন উজ্জ্বল, ও ২/৩ সেড ফর্সা করা, যার কারনে এটি বহুল পরিচিত। এটি কি সবার জন্য কাজ করে? উত্তর হচ্ছে, অনেকটাই করে। তবে যাদের ত্বক অলরেডি উজ্জ্বল, তাদের ক্ষেত্রে এতট...

Capcut এ বাংলাতে লিখতে পারবেন এখন থেকে খুব সহজেই!!

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলেই অনেক ভালো আছেন। আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কিভাবে আপনারা Capcut এপ এ বাংলা ফন্ট ব্যবহার কর‍তে পারবেন তাও আবার খুব সহজেই। আশা করবো পোস্টটি আপনাদের কাজে লাগবে। আপনারা জানেন Capcut একটা জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং এপ। ভিডিও এর পাশাপাশি Capcut এর বর্তমান আপডেট গুলোর দরুন এখন ফটো এডিটিং এও এই এপ এর প্রচুর ব্যবহার রয়েছে। এই এপটা খুবই জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও এই এপ এ বাংলা ফন্ট ব্যবহার করা যায় না। অনেকেই অনেক ভাবে চেষ্টা করেছেন হয় তো বাংলা ফন্ট ব্যবহার করার, কেউ পেরেছেন কেউ পারেন নি। আজকের পোস্ট টা তাদের জন্য যারা পূর্বে ব্যার্থ হয়েছিলেন। আমি ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছি, আজকের পোস্ট ফলো করলে আপনাদের Capcut এপ এ বাংলা ফন্ট ইউজ করতে কোনো সমস্যাই হবে না।   Capcut এপ এ বাংলা ফন্ট লেখার উপায় Capcut এপ এ বাংলা ফন্ট সরাসরি ব্যবহার করা যাবে না। তবে আপনাদের আমি আজকে যে ট্রিক্স দেখাবো সেটার মাধ্যমে একদম সহজেই Capcut এ আপনারা বাংলা ফন্ট ব্যবহার করতে পারবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে এবার মূল কাজে চলে যাই। ১. প্রথমেই Cap...