Skip to main content

ঘরে বসে অনলাইন আয়ের সম্পূর্ন গাইডলাইন

অনলাইন থেকে আয় করার উপায় | ঘরে বসে অনলাইন আয়ের সম্পূর্ন গাইডলাইন

আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই মহান আল্লাহ্ তায়ালার রহমতে ভাল আছেন। আমিও তার রহমতে আলহামদুলিল্লাহ্ অনেক ভাল আছি। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ। এ যুগে এখন আমাদের মত স্বল্প আয়ের দেশেও এসেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। তবে এ বিপ্লব কিন্তু এনে দিয়েছে ইন্টারনেট। আর এই ইন্টারনেট এর উন্নয়নের সাথে সাথে দিনকে দিন বদলে যাচ্ছে দেশের চেহারা। গান শুনার মত একটি ছােট্ট ব্যাপার থেকে চিকিৎসা সেবার মত কাজও এখন অতি সহজেই হয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে।

কি হয় না ইন্টারনেটে? সব কিছুই সম্ভব। এ ক্ষেত্রে আমরা একটু পিছিয়ে থাকলেও কিন্তু খুব দ্রুত গতিতেই ঘটছে এ দেশে ইন্টারনেটের প্রসার। আর এই ইন্টারনেটই এখন হয়ে উঠেছে বর্তমান বিশ্বের লাখ লাখ মানুষের র্কমস্থল। এদের মধ্যে ইন্টারনেটেকেই আয়ের একমাত্র উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছেন অনেকেই। তবে আশার কথা এই যে, আমাদের দেশের এই ক্ষেত্রে অগ্রগতিটা খুবই দ্রুত পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশের মানুষ অনলাইনে আয়ের দিকে অনেক বেশি পরিমানে ঝুকে চলছে। এতে কিন্তু রয়েছে এক বিশাল সম্ভাবনার দুয়ার।

অনলাইনে কি সত্যিই আয় করা সম্ভব?

এক কথায় যদি উত্তর দিতে হয় তবে বলব, হ্যাঁ অবশ্যই অনলাইনে আয় নিয়ে অনেক

গুঞ্জন এবং অনেক রূপকথাও রয়েছে। হাসছেন?? হাসারই তাে কথা, যদিও অনলাইনের ব্যাপারে রুপকথার কথা শুনলে হাসি পায়, তথাপি কথাটা কিন্তু বাস্তবা। এই রকম কথা বলার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে। কারণটা এখন বলব না। একটু পরে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কেন আমি এই কথা বলেছি। যাই হােক অনলাইনে আয় কিন্তু সত্যিই সম্ভব। এটা অবাস্তব কোন কিছু নয়।

এখানে আপনার কোন সাটিফিকেট এর দরকার নেই। আপনাকে জানতে হবে কাজ। শুধুমাত্র কঠিন ইচ্ছাশক্তি থাকলে আপনিও হয়ে উঠতে পারেন একজন অনলাইনে আয় এক্সপাটা বিস্তারিত ভাবে ধাপে ধাপে জানতে পারবেন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন অনলাইনে আয় কোন সাটিকটি রাস্তা নয়, এখানে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কঠিন শ্রম এবং সাধনা করতে হবে, আর হ্যা অবশ্যই বাস্তবসম্মত চিন্তা করতে হবে। কোনরূপ অবাস্তব চিন্তা করা যাবে না, যেমন ক্লিক করলেই আয়! এই কথার কি কোন ভিত্তি থাকতে পারে? আপনিই বলুন, আপনার যদি একটা সাইট থাকত আর যদি আপনার সাইটে কেউ একবার ভিজিট করে ৩০ সেকেন্ড থাকত তাহলে কি আপনি তাকে টাকা দিতেন? অবশ্যই না।

কারন আপনি সাইট খুলেছেন টাকা কামানাের জন্য, টাকা দেয়ার জন্য নয়। তবে হ্যা, গুগল এডসেন্স থেকে কিন্তু আপনি আয় করতে পারবেন, তবে সেটা নিজে ক্লিক করে নয়। বিস্তারিত নিয়ে ইনশাআল্লাহ্ খুব শীঘ্রই টিউটোরিয়াল বের করতে পারব আশা করি।

অনলাইনে আয় করতে হলে কি যােগ্যতা থাকতে হবে?

হ্যা এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। তবে এই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু অনেক সুন্দর। অনলাইনে আয় করতে গেলে আপনার কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার দরকার নেই। আপনাকে কাজ জানতে হবে আর অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে জানতে হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে ইংরেজিতে তেমন দক্ষ হতে হবে না, শুধুমাত্র আপনার মনের ভাব প্রকাশ এবং ক্লাইন্ট এর কথা বুঝার যােগ্যতা থাকলেই যথেষ্ট। অনেক ৭-৮ পাশ লােক রয়েছেন যারা অনলাইন থেকে আয় করছেন অথচ তাদের একাডেমিক শিক্ষা অনেক কম। একটু চেস্টা করলে আপনিও পারবেন। এই তাে গেল ইংরেজি জানার কথা, এরপর আপনাকে জানতে হবে অনলাইনে আয়ের কি কি উপায় রয়েছে? সেশুলাে সম্পর্কে আগে ভালভাবে জানতে হবে, এরপর আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন আপনি কোন দিকে যাবেন।

কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করব?

অনলাইনে আয়ের অনেক উপায় রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ব্লগিং, ফ্রীল্যান্সিং তথা আউটসােরসিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-মেইল মার্কেটিং, এড পােস্টিং ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে সবচেয়ে নিভর ঘােগ্য এবং ভাল উপায় হল ফ্রীল্যান্সিং করা। পরে আমরা ফ্রীল্যান্সিং নিয়ে বিস্তারিত আলচনা করব।

অনলাইন থেকে ইনকাম করতে কতদিন লাগতে পারে?

এটা একটা কমন প্রশ্ন। অনেকেই বলতে গেলে প্রায় সবাইই এই প্রশ্নটি করে থাকে যে কত দিন লাগবে অনলাইন থেকে আয় করতে। এই প্রশ্নের উত্তরে আমি বলব, এটা আপনার উপর নিভর করে। তাে চলুন ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার করা যাক, একদম নতুন অবস্থায় আপনাকে আগে ঠিক করতে হবে আপনি কি কাজ করবেন। কাজের লকশান কিন্তু খুব বড় একটি ব্যাপার। পনি নিজেকে প্রশ্ন করুন যে, আমি কি কাজ করতে পারব। আমার কাজ করার জন্য কতটুকু সময় রয়েছে, তাছাড়া কাজের জন্য আপনার পারিপার্শ্বিক অবস্থাটাও বিবেচনার যােগ্য। এই সকল দিক বিচার করে আগে ঠিক করুন আপনি কি কাজ করবেন।

কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায় এবং কোনটাতে কত সময় লাগে তা আস্তে আস্তে জানতে পারবেন। এখন কি কাজ শিখবেন তা যদি ঠিক করতে পারেন তাহলে এবার কাজ শিখতে নেমে পরুন। কাজ শেখার জন্য আপনাকে সঠিক দিক নির্দেশনা নিয়ে এগুতে হবে। আপনাকে আগে বিবেচনা করতে হবে যে, আপনি এখন নতুন, অনেক কিছুই জানেন না। তাই আগেই হুট করে ৫-১০ হাজার টাকা খরচ করে কোন কোস এ ভতি হয়ে যাবেন না।

এতে করে পরর্বতীতে অনেক সমস্যা হতে পারে। প্রয়ােজনে অনলাইন থেকে আয় করতেছে এমন কারও হেল্প নিন। যদি এমন না থাকে তাহলে আমাদের কাছ থেকে হেল্প নিতে পারেন।

এইভাবে কাজ শিখতে আপনার ১৫ দিন থেকে ১ মাস সময় ও লাগতে পারে। এখানে আপনি যে কাজটি বেশি পছন্দ করবেন সেটা শিখতে পারেন। এটা আপনার দক্ষতা এবং ইচ্ছার উপর নিভর করে। তবে এখানে আমি আপনাকে পরামর্শ দিব, শুরুতে বড় ধরনের কোন কাজ শিখবেন না, এতে করে কাজের নমুনা দেখে হতাশ হয়ে যেতে পারেন। প্রথমে সহজ কোন কাজ যেমন, ডাটা এন্ট্রি, এসইও ইত্যাদি শিখুন। তারপর কাজ শেখা হয়ে গেলে এবার কাজে হাত দেয়ার সময় এসে যাবে।

এইখানেই ঘত ঝামেলা, সঠিক দিক নির্দেশনা না থাকলে আপনি হয়ত মাসের পর মাস চেষ্টা করে যাবেন কিন্তু কাজ আর পাবেন না। এইক্ষেত্রে সফল কারাে পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়। এইভাবে আপনাকে চেস্টা করে যেতে হবে। তবে সঠিকভাবে এগুলে ১৫-২০ দিনেই আপনি কাজ পেয়ে যেতে পারেন। কাজ পাওয়ার টিপসগুলাে ধাপে ধাপে পাবেন।

কি? খালি বলেই যাচ্ছি ধাপে ধাপে পাবেন। কিন্তু পাচ্ছেন না, বিরক্ত হয়েন না, এগুলাে। নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা করা হবে, তাই যদি এখন দুই এক লাইনে বলে দিই তাহলে বুঝতেই পারবেন না। ইনশাল্লাহ পরবর্তী পোস্ট এ আরও বিস্তারিত আলোচনা করবো।

পোস্ট টি প্রথম প্রকাশ পাই আমার ব্লগ সাইটে

The post ঘরে বসে অনলাইন আয়ের সম্পূর্ন গাইডলাইন appeared first on Trickbd.com.



source https://trickbd.com/online-earning/699856

Comments

Popular posts from this blog

আবারো ফেইসবুকে নিন আনলিমিটেড ফলোয়ার

আসসালামু আলাইকুম। সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। তো বন্ধুরা আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি এমন একটি এপ যার মাধ্যম আপনারা আপনার আইডিতে যত চান ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। তো শুরু করা যাক…. ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ তার ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা কম বেশি সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর সবাই চেষ্টা করি আমাদের ভার্চুয়াল লাইফটাকে সবার থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে। আর তার জন্য কতো কিছুই না করি! কিভাবে ফ্যান, ফলোয়ার বাড়ানো যায় কিংবা নিজের ফেসবুক প্রফাইলটাকেও চেষ্টা করি একটু ভিন্ন রূপে সাজাতে। আপনি অবশ্যই ফেসবুক অটো ফলোয়ারের কথা শুনেছেন! আর এই সামান্য কিছু ফেসবুক অটো লাইক, ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট, ফেসবুকে অটো কমেন্ট, ফেসবুক পেজে অটো লাইক কিংবা অটো ফলোয়ার নিতে অনেকেই আবার নিজের স্বাধের ফেসবুক আইডিটি তুলে দেয় থার্ড পার্টি কোনো ওয়েবসাইটের হাতে। তবে আজকে আমি আপনাদের কে শিখাবো কিভাবে আপনার ফেসবুকে প্রফাইলে আনলিমিটেড ফলোয়ার নিবেন। তবে এটা কোনো অনিরাপদ উপ...

Glutathione – গায়ের রঙ ফর্সা করতে কার্যকারিতা, ব্যবহার এবং সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে সবকিছু (Skin health)

আসসালামু আলাইকুম   আজকের আলোচনায় আমরা জানবো Glutathione  এর কার্যকারিতা, ব্যবহার, এবং সাইড ইফেক্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের জন্য এটি উপকারী হবে।  Glutathione এর কাজ কি? (benefits of glutathione) গ্লুটাথিওয়ন বর্তমান সময়ে, বহুল জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য। এছাড়াও গ্লুটাথিওয়ন (Glutathione) নেওয়ার পর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে যায়, লিভার ডিটক্স (পরিষ্কার হয়) এবং রক্তের বিভিন্ন দুষণ সমস্যা গুলোও ঠিক করে দেয়। দেখা গেছে যে, যাদের মুখের ত্বক, শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে, কম উজ্জল হয়ে থাকে তাও এক রকম করে দেয় গ্লুটাথিওয়ন। এক কথায় সারা শরীরের ত্বকের উপর কাজ করে। এছাড়াও আমাদের ত্বক বেশী রোদ্রে যাওয়ার ফলে কালচে (ট্যান) হয়ে যায়, এটাও দ্রুত হিল করে গ্লুটাথিওয়ন। এমনকি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত ও দ্রুত সারিয়ে তোলে গ্লুটাথিওয়ন এর পরিমান শরীরে বেশি থাকলে। তবে কসমেটিকস জগতে গ্লুটাথিওয়ন এর একটি ফলাফল হলো স্কিন উজ্জ্বল, ও ২/৩ সেড ফর্সা করা, যার কারনে এটি বহুল পরিচিত। এটি কি সবার জন্য কাজ করে? উত্তর হচ্ছে, অনেকটাই করে। তবে যাদের ত্বক অলরেডি উজ্জ্বল, তাদের ক্ষেত্রে এতট...

Canva Premium ফ্রি একবছর

ক্যনভা একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটিতে একটি বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট স্টাইল, এবং অন্যান্য উপাদান যা ব্যবহারকারীরা তাদের ডিজাইনে ব্যবহার করতে পারেন। ক্যনভা ব্যবহার করে আপনি যে ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে: পোস্টার ব্যানার লোগো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইনফোগ্রাফিক্স ব্রোশিওর ভিজিটিং কার্ড এবং আরও অনেক কিছু! ক্যনভা ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনি একটি টেমপ্লেট দিয়ে শুরু করতে পারেন বা একটি blank design তৈরি করতে পারেন। তারপর, আপনি আপনার ডিজাইনে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট এবং অন্যান্য উপাদান যোগ করতে পারেন। আপনি ডিজাইনের রঙ, ফন্ট, এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন। ক্যনভা একটি freemium প্ল্যাটফর্ম। এর মানে হল যে আপনি এটিকে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন, তবে কিছু প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনি সাবস্ক্রাইব করে আনলক করতে পারেন। ক্যনভা একটি দুর্দান্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই এবং দক্ষতার সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটি ব...