Skip to main content

অনলাইনে আয় নিয়ে মানুষের ভুল ধারনা | ফ্রীল্যান্সিং কী?

আপনাদের মাঝে এমন অনেকেই আছেন যারা অনলাইনে আয়কে খুবই সহজ মনে করেন। আপনাদের এই ধারনা কিন্তু অনেকটা ভুল। এই পৃথিবীতে অন্যান্য কাজের মত অনলাইন থেকে আয় করাও কঠিন কাজ। শুধুমাত্র তফাৎ এটাই যে অনলাইনে আয়ের কোন লিমিটেশন নেই। চাকরিতে যেমন, মাস শেষে একটা নিদিষ্ট টাকা পাবেন কিন্তু অনলাইন কিন্তু এমন নয়, এখানে আপনি এক টাকা নাও পেতে পারেন আবার কোটি টাকা আয় করতে পারেন। তবে এখানে আপনি আপনার পারিশ্রমিক বাস্তব জগতের চেয়ে একটু বেশি ই

 

কারন, এখানে হিসাব হয় ডলারে৷ এমন অনেকেই আছেন যারা প্রতি ঘন্টা ২০ ডলার রেটে কাজ করেন। তার মানে ১০ ঘণ্টা কাজ করলে উনি পাবেন ২০০ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যেটা দাড়ায় প্রায় ১৬০০০ টাকা। আমার মনে হয়, বাস্তব জীবনে দশ ঘণ্টা কাজে আপনাকে ১৬০০০ টাকা দিবে এমন কোম্পানি পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই জন্যই অনেকে বলে অনলাইনে টাকা উড়ে। এটা কিন্তু সম্পূর্ণ বানােয়াট এবং কাল্পনিক যে ব্যক্তি সফল হয়, তার সফলতার কাহিনি শুনতে কিন্তু ভালই লাগে, কিন্তু ঐ লােকের সফল হতে যে কি কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তা সেই ভাল জানে।

 

কাজেই যেখানেই কাজ করুন না কেন, সেটা অনলাইন হােক আর অফলাইন যাই হােক, ভাল করে কাজ জানতে হবে এবং মনােযােগ দিয়ে কাজ করতে হবে। বাস্তব জীবনে অনেক সময় কাজ জানলেও সাটিফিকেটের অভাবে কাজ পাওয়া যায় না, কিন্তু অনলাইনে এই সুবিধা পাওয়া যায়। এখানে একটাই সুবিধা যে, আপনাকে কোন প্রাতিষ্ঠানিক সাটিফিকেট দেখাতে হবে না, কাজ জানলে অবশ্যই আয় করতে পারবেন। কিন্তু তার জন্য কিন্তু আপনাকে কঠিন পরিশ্রম এবং সবুর করতে হবে।

 

ফ্রীল্যান্সিংটা আসলেই কি??

ফ্রীল্যান্সিং হল অনলাইনে আয়ের একটি মাধ্যম। আপনি অনলাইনে কাজ করবেন আর সেই কাজের জন্য আপনাকে টাকা দেওয়া হবে। শুনতে অনেক সােজা হলেও অনলাইনে আয় কিন্তু বাস্তব জীবনে আয় করার মতই কঠিন। শুধু পার্থক্য এইটুকুই যে, বাস্তব জীবনে আমাদের দেশে কাজের সুযোেগ অনেক কম কিন্তু অনলাইনে এই সুযােগ অনেক বিস্তৃত। যে কেউ নূন্যতম যােগ্যতা নিয়েই শুরু করতে পারেন অনলাইনে আয়। এর জন্য একটু ধৈর্য আর পরিশ্রম থাকলেই চলে।

– আপনাদের মনে অনেকেরই এই প্রশ্ন থেকে যায় যে, এই যে আমি যে বলছি কাজ করবেন আর টাকা তুলবেন, এটা আমি কোথায় কাজ করব, আর কার কাজই করব, আবার টাকা কিভাবে পাব??

এই প্রশ্নের উত্তর আমি দিচ্ছি। অনলাইনে কাজের জন্য অনেক সাইট রয়েছে। ওই সকল সাইটে গেলেই আপনি দেখতে পাবেন সেখানে অনেক ধরনের কাজ আছে। এই রকম একটা ওয়েবসাইট হল- ওডেস্ক,কম। কিন্তু কথা হল এই কাজগুলাে কারা দেন? অনেক লােক আছেন যারা তাদের নিজের কাজগুলাে করিয়ে নিতে চান অন্য কাউকে দিয়ে। এই রকম লােকেরা এই সকল সাইটে (ওডেস্ক.কম) গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলেন তারপর তারা তাদের কাজগুলাে পােস্ট করেন। যারা কাজ দেন বা কাজ পোস্ট করেন তাদেরকে বলা হয় ক্লাইন্ট বা বায়ারা এখন ওই একই ফ্রীল্যান্সিং সাইটে (যেমনঃ http://odesk.com) আবার অনেকে কাজ করার জন্য অ্যাকাউন্ট খুলেন (যেমনঃ আপনিও অ্যাকাউন্ট খুলবেন কাজ করার জন্য)। ক্লাইন্ট যখন কোন কাজ পােস্ট করেন তখন তারা ওই কাজগুলাে দেখে ওই কাজটি করার জন্য অনেকে আবেদন করেন। একে বলা হয় বিড করাতাে ধরুন একটি কাজের জন্য ৩০ জন বিড করেছেন, এখন যিনি কাজটি পােস্ট করেছেন তিনি এই ৩০ জনের মধ্যে থেকে একজনকে এই কাজটি করার জন্য নির্বাচন করবেন। মানে এই ৩০ জনের মধ্যে থেকে একজন কাজটি জিতে নিবেন এবং তিনি কাজটি করার সুযােগ পাবেন। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ক্লাইন্ট একের অধিক ব্যাক্তিকেও কাজের জন্য মনােনয়ন করতে পারেন।

তারপর ক্লাইন্ট মেসেজের মাধ্যমে জানিয়ে দেন কাকে তিনি মনােনয়ন করেছেন, যদি আপনি মনােনীত হন তাহলে আপনার ওডেস্ক একাউন্ট এ লগিন করলে নােটিফিকেশন এর মাধ্যমে জানতে পারবেন। যদি মনােনীত নাও হন, তবুও জানতে পারবেন। এর পর ক্লাইন্ট আপনার সাথে মেসেজ এ যােগাযােগ করবেন। অবশ্যই কাজ দেয়ার আগে ক্লাইন্ট আপনার সাথে মেসেজ এ যােগাযােগ করতে পারেন, তাই সব সময় ওডেস্ক এ থাকার চেষ্টা করুন৷ অথবা আপানার ই-মেইল চেক করতে থাকুন, কারন ক্লাইন্ট থেকে কোন প্রকার রিপ্লাই পেলে ই-মেইল এ আপডেট পাবেন। এরপর কাজটি করা হয়ে গেলে ক্লাইন্ট আপনাকে টাকা দিয়ে দিবে। এই ভাবে টোটাল প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

এই গেলাে পুরাে হিস্টরি জিওগ্রাফি। আশা করি আপনারা অনেকেই যারা নতুন তারা একটু হলেও আইডিয়া পেয়েছেন যে, আসলে কিভাবে এই কাজগুলাে হয়ে থাকে। আপনারা http://odesk.com থেকে ঘুরে আসুন, সেখানে কি কি কাজ পাওয়া যায় একটু দেখে আসতে পারেন এতে করে আপনাদের ধারনা একটু প্রখর হবে।

পোস্ট টি সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় আমার ব্লগে।

The post অনলাইনে আয় নিয়ে মানুষের ভুল ধারনা | ফ্রীল্যান্সিং কী? appeared first on Trickbd.com.



source https://trickbd.com/online-earning/700163

Comments

Popular posts from this blog

আবারো ফেইসবুকে নিন আনলিমিটেড ফলোয়ার

আসসালামু আলাইকুম। সবাই আমার সালাম নিবেন। আশা করি আপনারা সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি ও ভালো আছি। তো বন্ধুরা আমি আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি এমন একটি এপ যার মাধ্যম আপনারা আপনার আইডিতে যত চান ফলোয়ার বাড়াতে পারবেন। তো শুরু করা যাক…. ফেসবুক হচ্ছে বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েবসাইট। ইন্টারনেট ব্যবহার করে অথচ তার ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আমরা কম বেশি সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকি। আর সবাই চেষ্টা করি আমাদের ভার্চুয়াল লাইফটাকে সবার থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করতে। আর তার জন্য কতো কিছুই না করি! কিভাবে ফ্যান, ফলোয়ার বাড়ানো যায় কিংবা নিজের ফেসবুক প্রফাইলটাকেও চেষ্টা করি একটু ভিন্ন রূপে সাজাতে। আপনি অবশ্যই ফেসবুক অটো ফলোয়ারের কথা শুনেছেন! আর এই সামান্য কিছু ফেসবুক অটো লাইক, ফেসবুক অটো ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট, ফেসবুকে অটো কমেন্ট, ফেসবুক পেজে অটো লাইক কিংবা অটো ফলোয়ার নিতে অনেকেই আবার নিজের স্বাধের ফেসবুক আইডিটি তুলে দেয় থার্ড পার্টি কোনো ওয়েবসাইটের হাতে। তবে আজকে আমি আপনাদের কে শিখাবো কিভাবে আপনার ফেসবুকে প্রফাইলে আনলিমিটেড ফলোয়ার নিবেন। তবে এটা কোনো অনিরাপদ উপ...

Glutathione – গায়ের রঙ ফর্সা করতে কার্যকারিতা, ব্যবহার এবং সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে সবকিছু (Skin health)

আসসালামু আলাইকুম   আজকের আলোচনায় আমরা জানবো Glutathione  এর কার্যকারিতা, ব্যবহার, এবং সাইড ইফেক্ট নিয়ে। আশা করছি আপনাদের জন্য এটি উপকারী হবে।  Glutathione এর কাজ কি? (benefits of glutathione) গ্লুটাথিওয়ন বর্তমান সময়ে, বহুল জনপ্রিয় একটি সাপ্লিমেন্ট ত্বক ফর্সা ও উজ্জ্বল করার জন্য। এছাড়াও গ্লুটাথিওয়ন (Glutathione) নেওয়ার পর শরীরের ইমিউনিটি সিস্টেম বেড়ে যায়, লিভার ডিটক্স (পরিষ্কার হয়) এবং রক্তের বিভিন্ন দুষণ সমস্যা গুলোও ঠিক করে দেয়। দেখা গেছে যে, যাদের মুখের ত্বক, শরীরের অন্যান্য অংশ থেকে, কম উজ্জল হয়ে থাকে তাও এক রকম করে দেয় গ্লুটাথিওয়ন। এক কথায় সারা শরীরের ত্বকের উপর কাজ করে। এছাড়াও আমাদের ত্বক বেশী রোদ্রে যাওয়ার ফলে কালচে (ট্যান) হয়ে যায়, এটাও দ্রুত হিল করে গ্লুটাথিওয়ন। এমনকি শরীরের বিভিন্ন ক্ষত ও দ্রুত সারিয়ে তোলে গ্লুটাথিওয়ন এর পরিমান শরীরে বেশি থাকলে। তবে কসমেটিকস জগতে গ্লুটাথিওয়ন এর একটি ফলাফল হলো স্কিন উজ্জ্বল, ও ২/৩ সেড ফর্সা করা, যার কারনে এটি বহুল পরিচিত। এটি কি সবার জন্য কাজ করে? উত্তর হচ্ছে, অনেকটাই করে। তবে যাদের ত্বক অলরেডি উজ্জ্বল, তাদের ক্ষেত্রে এতট...

Canva Premium ফ্রি একবছর

ক্যনভা একটি অনলাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটিতে একটি বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট স্টাইল, এবং অন্যান্য উপাদান যা ব্যবহারকারীরা তাদের ডিজাইনে ব্যবহার করতে পারেন। ক্যনভা ব্যবহার করে আপনি যে ধরণের গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে পারেন তার মধ্যে রয়েছে: পোস্টার ব্যানার লোগো সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ইনফোগ্রাফিক্স ব্রোশিওর ভিজিটিং কার্ড এবং আরও অনেক কিছু! ক্যনভা ব্যবহার করা খুব সহজ। আপনি একটি টেমপ্লেট দিয়ে শুরু করতে পারেন বা একটি blank design তৈরি করতে পারেন। তারপর, আপনি আপনার ডিজাইনে ফটো, গ্রাফিক্স, টেক্সট এবং অন্যান্য উপাদান যোগ করতে পারেন। আপনি ডিজাইনের রঙ, ফন্ট, এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্যগুলিও কাস্টমাইজ করতে পারেন। ক্যনভা একটি freemium প্ল্যাটফর্ম। এর মানে হল যে আপনি এটিকে বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারেন, তবে কিছু প্রিমিয়াম বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনি সাবস্ক্রাইব করে আনলক করতে পারেন। ক্যনভা একটি দুর্দান্ত গ্রাফিক্স ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের সহজেই এবং দক্ষতার সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন তৈরি করতে দেয়। এটি ব...